ঢাকা , শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫ , ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর উদ্বোধন ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে- শিল্প উপদেষ্টা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট নীতিমালা নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে, ঝুঁকি বাড়ছে প্রতি বছরই সরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়ছে আয়নাঘর : জীবিতদের প্রতিদিনের জন্য ১ লাখ, নিহতদের ১০ কোটি টাকা দিতে লিগ্যাল নোটিশ ২৬ বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে বাধা ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু হাসপাতালে ভর্তি ৪০৮ ছাত্র-জনতার আকাক্সক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি -শিবির সরকারের ১২ মাসে ১২ সাফল্যের কথা জানালেন প্রেসসচিব অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে হতাশ করেছে: আসক উত্তর বা দক্ষিণপন্থি নয়, বিএনপি মধ্যপন্থি দল-সালাহউদ্দিন ঢাকায় ফ্লাইট রেস্ট্রিকশন জোনে ৫২৫ উঁচু ভবন রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্বিবেচনার রায় পিছিয়েছে কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো নিমজ্জিত ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলের লাশ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কর্নেল আজাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন ইউনিয়ন যাচ্ছে অন্য আসনে, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িত এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল দাবি পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪
রাঙামাটিতে পানিবন্দি ১৮ হাজার মানুষ

খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

  • আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ১০:৪০:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৮-২০২৫ ১২:০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
টানা গত এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধিতে রাঙামাটি জেলার ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট তিন ফুট থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। জলকপাট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে আরও ৩২ হাজার মোট ১ লাখ কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে গিয়ে পড়ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় ২টি পৌরসভাসহ ২০ ইউনিয়নের ৮১টি গ্রাম, ৫ হাজার ৭০০ পরিবার এবং ১৮ হাজার ১৪৭ জন মানুষ বন্যাকবলিত। জেলায় বন্যায় ৫৪৮টি ঘর, ৬১টি সড়ক, ২টি ব্রিজ-কালভার্ট, ৯৮ একর ফসলি জমি, ৪৩টি মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলার ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৩৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন। অপরদিকে জেলার বাঘাইছড়ি পৌরসভার ও ৮টি ইউনিয়নের পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও লংগদু উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। রাঙামাটি সদরের আসাম বস্তি, মালিপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। দ্রুত পানি কমিয়ে দেওয়ার দাবির জানান তারা। বাঘাইছড়ির স্থানীয় সংবাদকর্মী মাহমুদ হাসান জানান, বাঘাইছড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও অনেক সড়ক ডুবে আছে। বৃষ্টি না কমলে পানি সরতে সময় লাগবে। মূলত উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে পানি কমতে সময় লাগছে। রাঙামাটি শহরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা মো. ইউসুফ আলী বলেন, শুনেছি কাপ্তাই বাঁধ খুলে দিয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই বাসা থেকে পানি কমছে না। দিন দিন বাড়ছে। বাচ্চা নিয়ে খাওয়াদাওয়ায় খুব সমস্যা হচ্ছে। রাঙামাটি শহরের আসাম বস্তি এলাকার বাসিন্দা মো. তুহিন বলেন, সরকার ত্রাণ না দিয়ে দ্রুত পানিটা কমিয়ে দিলে স্থানীয়রা সুবিধা পাবে। পানির কারণে বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে যাওয়া কঠিন হয়ে গেছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য